সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে গত প্রায় একমাস ধওে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। সেইসাথে হোটেল, পানের দোকান, মার্কেটও বন্ধ আছে। সরকারিভাবে বাড়ছে সাধারণ ছুটিও। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসন।
উপজেলার বেশ কয়েকটি হাটের মধ্যে শুধুমাত্র মুন্ডুমালা হাটে গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশু বেচা-কেনা হয়ে থাকে। প্রতি সোমবার দিনব্যাপি ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা দেখা যায় এ হাটে। গত দু’সপ্তা আগে সামাজিক দূরত্বর কথা মাথায় রেখে বন্ধ করা হয়েছিল পশুহাটটি। শুধু পশুহাট বন্ধ হলেও চলছিল কাঁচা বাজারসহ অন্য আর সব পণ্য কেনা-বেচা। এতে এই উপজেলা ছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগন ঘটে এই হাটে। ফলে বর্তমানে করোনা ঝুঁকিতে হাটটি পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকার সচেতন নাগরিক ছাড়াও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
অবশেষে আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে মুন্ডুমালা হাট পুরোপুরি বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। যার ফলে সকাল থেকে শুধুমাত্র ওষুধ ও কীটনাশকের দোকান ছাড়া বন্ধ ছিলো হাটের অন্যান্য আর সব দোকান।
এবিষয়ে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কয়েক দিন থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা যেন কেউ হাটে না আসেন। করোনার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এমন সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, শুরুতে মুন্ডুমালা পশুহাট বন্ধ করা হয়। আংশিক কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য পণ্য বেচা-কেনা চলছিল। তবে, ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় হাট ও বাজার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়। পরবর্তী নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত উপজেলার সকল প্রকার সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে।